,

বিদ্যুত ‘এই আছে এই নেই’ অনেক এলাকায় একেবারেই নেই :: এলেও লো বোল্ডেজ!

জুয়েল চৌধুরী : ‘হুটহাট’ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার জেনারেটর চালু করতে না করতে চলে আসে। আবার যাদের জেনারেটর নেই তাদের ক্ষেত্রে মোমবাতি কিংবা চার্জার লাইট জ¦ালানোর আগেই চলে আসে। দিনে-রাতে একবার নয়; অনেকবার এ রকম ঘটে। গড় হিসেবে বলতে গেলে ৩০ মিনিটে ৭ বার বিদ্যুত আসা যাওয়া করে। এটা খুবই বিরক্তিকর। কাজের ব্যাঘাত তো হয়ই, পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার চেয়ে তাদের (কর্তৃপক্ষ) খুুশিমতো টানা ঘণ্টা-দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ না দিলেই হয়। ’ বিদ্যুৎ এই আছে, এই নেই। বিদ্যুতের ভোগান্তিতে এভাবেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরের বাসিন্দা আজিজুর রহমান।
হবিগঞ্জ শহরে গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। প্রতি ঘণ্টায় ৮/১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। কখনো আধাঘণ্টা; কখনো বা দুই ঘণ্টা আবার কখনো কখনো কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের জন্য। এতে কাজের ব্যাঘাতের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখাকালে মধ্যে কয়েক দফায় অসংখ্যবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ‘এক ঘণ্টার মধ্যে ৭/৮ বিদ্যুৎ গেছে। একেবারে কয়েক ঘণ্টার জন্য নিয়ে গেলে তাও এক সান্ত্বনা।’
জানা যায়, বাণিজ্যিক এলাকাগুলোর পাশাপাশি আবাসিক এলাকাগুলো বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোতে বিভ্রাট তুলনামূলক বেশি হচ্ছে। এতে গরমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া জোড়ো বাতাস কিংবা বৃষ্টি হলেই বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে, অন্ধকারে ডুবে পুরো শহর। কদিন ধরে বিদ্যুতের ভেল্কিভাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে শহরবাসীর জনজীবন। হঠাৎ বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতিতে জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে গত সপ্তাহখানেক ধরে ধরে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে দুর্ভোগের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। শুধু দিনের বেলায় নয়, রাতেজুড়েও চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। শহরের শায়েস্তানগর, মোহনপুর, রাজনগর, ২নং পুল, পইল রোড, মাহমুদাবাদ, অনন্তপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুত নেই। আবার কোনো কোনো স্থানে বিদ্যুত এলে লো বোল্ডেজের কারণে ইলেক্ট্রিক সামগ্রী বিকল হয়ে গেছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ বারবার ফোন দিয়েও পিডিবির অফিস থেকে উত্তর মিলেনি। আবার কেউ কেউ রিসিভ করে বলেন লোক যাচ্ছে মেরামত করতে। কিন্তু ৪/৫ ঘন্টা পার হলেও লোকের খবর পাওয়া যায় না। এ ভাবেই চলছে হবিগঞ্জে বিদ্যুতের গ্রাহক সেবা।
এসব বিষয়ে হবিগঞ্জ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘ফিডারে সমস্যা হওয়ায় কিছু অঞ্চলে অল্প সময়ের জন্য ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।’ সেটিং এলোমেলো হওয়ার কারণে এটা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘কাজ চলছে। কাজ হয়ে গেলে এ সমস্যা আর থাকবে না।’


     এই বিভাগের আরো খবর